This post is also available in:
English
অনেকে Hero Thriller 160 বাইক ইউজার অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছেন। আমি আজ আপনাদের সাথে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
সত্যি কথা বলতে আমি বাইক নিয়ে ঘাটাঘাটি কম করি।তেমন অভিজ্ঞতাও নাই।অনেক পার্টসের নামও জানিনা।আমি শুধু বুঝি বাইক রাইড করা ও রাইড করার সময় বাইকে কি সুবিধা আর কি অসুবিধা।
আমি এর আগে Pulsar NS 160 ব্যবহার করেছি। বর্তমানে এই বাইকটি ব্যবহার করছি ২৬০০ কিলোমিটার হলো। আমি যেহেতু একজন ভ্রমনকারী বাইকার তাই আমি আমার মতো অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।এখানে একজন রাইডারের ওজন ও উচ্চতার সাথে হয়তো অনেক কিছুই আমার অভিজ্ঞতার সাথে মিলবেনা।
আমি প্রথমে খারাপ দিকগুলো শেয়ার করছি।
খারাপ দিকঃ
- যেটা সবাই বলে আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী।এই বাইকের প্রথম খারাপ দিক হলো ডিজাইন সুন্দর লাগেনা দেখতে, তারা চাইলে ১৬০ সিসির এই বাইকটিকে আরো ভাল লুক দিতে পারতো।
-
হেডলাইটের আলো খুবই কম।এটা পরিবর্তন করা যায়না যেটা আমাদের মতো ভ্রমনকারী বাইকারদের জন্য খারাপ, এজন্য আমি সাজেস্ট করবো যারা রাতে রেগুলার রাইড করেন তারা এডিশনাল ফগ লাইট ব্যবহার করতে পারেন।
- ডাউনহিলে আমার চাহিদা মতো মনে হয়নি, ইঞ্জিন পাওয়ার কমের কারনে। ১৬০ সিসি বাইক হিসেবে এক্সিলারেশন বেশ ভাল হলেও এর পাওয়ায়র কিছুটা কম কম মনে হয়েছে।
- প্রথম গিয়ার থেকে দ্বিতীয় গিয়ার আবার দ্বিতীয় গিয়ার থেকে প্রথম গিয়ার হার্ড লাগছে।এবং দ্বিতীয় গিয়ার থেকে প্রথম গিয়ারে আসতে অনেক সময় নিউট্রাল হয়ে যায়।যা আমার পূর্ববর্তী কোনো বাইকে পাইনি। তবে আশা করি আরো চালালে এটি স্মুথ হবে।
- এর রাইডিং সিট বেশ আরাম দায়ক হলেও পিলিয়ন সিট খুব একটা সুবিধার মনে হয়নি আমার কাছে।

ভালোদিকঃ
- ১. ব্রেকিং ও কন্ট্রোলিং আমার কাছে খুবই ভালো মনে হচ্ছে।এই সেগমেন্টের অন্য কোম্পানির Single chanel ABS নিয়ে অনেক কম্পেলেইন শুনলেও আমি এই বাইকের ব্রেকিং নিয়ে কোনো ত্রুটি পাইনি। হাই স্পিডে কিংবা বৃষ্টিতে রাইডের সময় এর এবি এস আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে।
- ০-৯০ কিঃমিঃ স্পিড খুব সহজেই উঠে যায়, আর এর এক্সিলারেশন ভাল হওয়ায় হাইওয়েতে ওভারটেকের সময় বেশ ভাল ফিডব্যাক পাওয়া যায়।
- ভ্রমনকারী বাইকারদের জন্য সিটিং পজিশন ও কম্ফোর্ট এর ব্যাপারটা সবার আগে যাতে আমি এই বাইককে ০৯/১০ দিবো ১ কম দিলাম গ্রিপটা আরেকটু মোটা দরকার ছিলো। তবে এর সাস্পেনশন সিটিং পজিশন বেশ আরাম দায়ক লম্বা সময় ধরে রাইড করলেও তেমন কোনো ব্যাক পেইন কিংবা অন্য সমস্যা মনে হয় নি।
- অকটেন ভেজালমুক্ত হলে ৪৫+ মাইলেজ পাওয়া যায় আর ভেজাল অকটেনে ৩০+, আর যেহেতু এই বাইকে সাজেস্ট করাই আছে অক্টেন ব্যবহারের জন্য সেহেতু কেউ ভুলেও পেট্রল নিয়েন না। আর চেষ্টা করবেন ভাল পাম্প থেকে ফুয়েল নেয়ার।
- লম্বায় একটু ছোট হওয়ায় সিটিতে খুব সুন্দরভাবে জ্যাম মোকাবিলা করা যায়। তবে যাদের হাইট অনেক বেশি তাদের জন্য খুব একটা আরামদায়ক হবে না। কিন্তু এই বাইক সিটি রাইডের জন্য পারফেক্ট এক কথায়।
- পিছনের সাসপেন্সন অফরোডের জন্য খুবই আরামদায়ক মনে হলো। হয়তো আরো চালালে তা আরো ফ্রি হবে।
- সিট খুব আরামদায়ক।আমি একদিনে ৩৪০ কিলোমিটার হিল রাইড ও ২৫০ কিলোমিটার সমতলে চালিয়ে আমার কোনো ধরনের ব্যাথা অনুভব হয়নি।
পাগাড় ও সমতলে চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে যা বুঝলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি রিভিউটি এই বাইক যারা কিনবেন ভাবছেন তাদের জন্য উপকৃত হবে।
Thank you
লিখেছেন – রবিন মাহমুদ সুহাত
This post is also available in:
English